বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দুষ্কৃতকারীদের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হরিজনদের পাশে জেলা প্রশাসন 

  • সালাহ উদ্দীন খান রুবেল, নেত্রকোণা প্রতিনিধি   
  • ১১ জুন, ২০২৫ ১২:৪৩

নেত্রকোণা জেলার পূর্বধলা উপজেলার বিশকাকুনী ইউনিয়নের জালশুকা স্টেশন বাজারসংলগ্ন এলাকায় রবিদাস সম্প্রদায়ের পাঁচটি পরিবারের ওপর হামলা ও ঘরবাড়ি ভেঙে দেয়ার অভিযোগের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বনানী বিশ্বাসের নির্দেশে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন নেত্রকোণা জেলার বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সুখময় সরকার।

বুধবার সকালে ঘটনাস্থলে যান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সুখময় সরকার।

এসময় তিনি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলেন এবং ঘটনার বিস্তারিত শুনেন। এছাড়াও সহকারী কমিশনার(ভূমি) নাজনীন আখতার, পূর্বধলা থানার অফিসার ইন চার্জ (তদন্ত) মিন্টু দে ও অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে মত বিনিময় করেন এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সার্বিক সহায়তা ও সুষ্ঠু বিচারের ব্যাপারে আশ্বস্ত করেন।

স্থানীয় এলাকাবাসী ও প্রশাসনের সূত্রে জানা গেছে, নেত্রকোণার পূর্বধলায় পাঁচটি হরিজন পরিবারের ওপর হামলা ও ঘরবাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ প্রভাবশালী চক্রের বিরুদ্ধে। কয়েক দিন ধরে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে মঙ্গলবার উপজেলা প্রশাসনের প্রতিনিধি, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

জানা গেছে, নেত্রকোণার পূর্বধলা উপজেলার বিশকাকুনি ইউনিয়নের জালশুকা বাজার সংলগ্ন রেললাইনের পাশের একটি খাসজমিতে বংশপরম্পরায় বসবাস করছে কয়েকটি হরিজন পরিবার। কিছু দিন ধরে পূর্বধলা উপজেলার ধারা গ্রামের জানু মিয়ার ছেলে সিরাজ মিয়া জমিটি তাঁর ব্যক্তিমালিকানাধীন বলে দাবি করেন এবং পরিবারগুলোকে জমি ছেড়ে দেওয়ার জন্য বলেন। এ ঘটনায় হরিজন পল্লির বাসিন্দা সুনীল রবিদাস সম্প্রতি নেত্রকোণা জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। এতে সিরাজ ক্ষিপ্ত হয়ে প্রথমে শুক্রবার সুনীল রবিদাসের বাড়িতে হামলা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের মারধর করেন। এরপর গত রোববার পুনরায় হামলা চালিয়ে তিনটি ঘর ভাঙচুর করেন। মঙ্গলবার দুপুরে ফের কিছু গ্রামবাসীকে সঙ্গে নিয়ে হামলা চালায় এবং অবশিষ্ট দুইটি ঘর ভাঙচুরসহ পরিবারগুলোর সদস্যদের মারধর করে বের করে দেওয়া হয়। ফলে পাঁচটি পরিবারের ২২ জন সদস্য আশ্রয়হীন হয়ে বসত ভিটায় খোলা আকাশের নিচে রাতদিন কাটায়।

অভিযুক্ত সিরাজ মিয়ার সঙ্গে চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি। পালিয়ে আত্মগোপনে আছেন।

পূর্বধলা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মিন্টু দে জানান, আজ বুধবার সকালের দিকে নেত্রকোণা জেলা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সুখময় সরকার ও সহকারী কমিশনার ভূমি নাজনীন আখতার সহ স্থানীয় গণ্যমান্য লোকজনদের নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। ঘরবাড়িগুলো ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ সত্যতা নিশ্চিত করেন। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী অনিল রবিদাস বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

পূর্বধলা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাজনীন আখতার জানান, খবরটি শুনতে পেয়ে বিশকাকুনি ইউনিয়নের তহশিলদারকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছিল। তিনি জানিয়েছেন, এই জমিটি ব্যক্তিমালিকানাধীন নয়, খাস খতিয়ানভুক্ত।

আজ বুধবার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সুখময় সরকারের সাথে সরেজমিনে পরিদর্শন করা হয়েছে।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সুখময় সরকার জানান, জেলা প্রশাসক বনানী বিশ্বাস এর পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত ৫টি পরিবারের ২২জন সদস্যের মাঝে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বনানী বিশ্বাস অতিদ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত ৫টি পরিবারকে ১০বান্ডিল টিন এবং প্রতি পরিবারকে ১০হাজার টাকা করে অর্থসহায়তা প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

তিনি আরও আশ্বস্ত করেছেন দোষীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক বিচারের ব্যবস্থা করা হবে।

এ বিভাগের আরো খবর